নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি বিল্লাল হোসেন রবিনকে যড়যন্ত্রমূলকভাবে হত্যা মামলায় জড়ানোর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক এজাহার থেকে নাম প্রত্যাহারের দাবিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারক লিপি দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হকের দপ্তরে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপি দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দীপু, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবন, যুগ্ম সম্পাদক আহসান সাদিক শাওন, কোষাধ্যক্ষ জুয়েল হোসেন, কার্যকরী সদস্য আবু সাউদ মাসুদ, মোস্তাক আহমেদ শাওন, সিদ্ধিরগঞ্জ সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি সাইফুল্লাহ খালিদ রাসেল, যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট খোরশেদ আলম, অর্থ সম্পাদক সম্রাট আকবর, সাংবাদিক এডভোকেট মনির হোসেন, শাহাদাত হোসেন, আসলাম সহ বিপুল সংখ্যক গণমাধ্যমকর্মী।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ২১ জুলাই নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মিলন নামে এক মাছ ব্যবসায়ী নিহত হয়। এই ঘটনায় নিহত মিলনের স্ত্রী শাহনাজ বাদী হয়ে ১৮ আগস্ট রোববার দিবাগত রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামী করে ৬২ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৭। মামলায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি বিল্লাল হোসেন রবিনের নাম জড়ানো হয়েছে। যা অত্যন্ত দু:জনক ও নিন্দনীয়।
বিল্লাল হোসেন রবিন দৈনিক মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার, এনটিভির জেলা প্রতিনিধি এবং মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ এর নারায়ণগঞ্জ সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
আমরা মনে করি, রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি, জবরদখল, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ নানা অপকর্ম প্রকাশ করা থেকে সাংবাদিকদের বিরত রাখতে হুমকি স্বরূপ বিএনপির স্থানীয় এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার যোগসাজশে বিল্লাল হোসেন রবিনকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। ওই রাজনৈতিক নেতা একজন স্বনামধন্য পেশাদার সাংবাদিককে হত্যা মামলায় জড়ানোর ঘটনায় আমরা হতবাক ও মর্মাহত হয়েছি। তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে সাংবাদিকতার কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে আমরা মনে করি। আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মামলার এহাজার থেকে বিল্লাল হোসেন রবিনের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।